sunnah24

আব্দুল করিম সাহেব আব্দুর রহিম সাহেব থেকে একটি দোকান ৬ লক্ষ টাকার বিনিময়ে ৫ বছরের জন্যে বন্ধক নিয়েছে।

 

এই ৫ বছর আব্দুর রহিম সাহেবের দোকানের সমস্ত আয় (ভাড়া বাবদ) টাকা আব্দুল করিম সাহেব ভোগ করিবে,

৫ বছর পরে ৬ লক্ষ টাকা করিম সাহেব রহিম সাহেব কে ফেরত দিবে।

 

এখন প্রশ্ন হচ্ছে ,আব্দুল করিম সাহেব আব্দুর রহিম সাহেবের দোকানের সমস্ত আয় (ভাড়া বাবদ) টাকা ভোগ করিতে পারিবে কি না ?

 

উত্তর:-

বন্ধকী সম্পদ আমানত হিসেবে সাব্যস্ত হয়। আর আমানতের বস্তু ব্যবহার করা আমানতগ্রহীতার জন্য জায়েজ নয়।

 

সেই হিসেবে উপরোক্ত বন্ধককৃত দোকান দিয়ে বন্ধকগ্রহিতার জন্য উপার্জনের মাধ্যম বানানো বা ব্যবহার করা কোনটাই জায়েজ নয়।

 

তবে এখানে ২টি জায়েজ সূরত আছে। সেটি হল,

 

 

করিম সাহেব রহীম সাহেব থেকে দোকানটি ভাড়া নিবে মাসিক বা বাৎসরিক হিসেবে। একটি মামূলী ভাড়া ধার্য করে। যেমন মাসে বা বছরে এক হাজার টাকা। বা দুই হাজার টাকা।

 

তারপর অগ্রীম ভাড়া বাবদ তাকে ৬ লাখ টাকা প্রদান করবে।

 

এবার করিম সাহেব উক্ত দোকান নিজের ইচ্ছেমত ভাড়া বা ব্যবহার করতে পারবে।

 

তারপর ৫ বছর পর ভাড়া ব্যতিত বাকি টাকা রহিম সাহেব ফেরত দিয়ে তার দোকানটা নিয়ে নিবে।

 

এভাবে করলে উক্ত চুক্তিটি জায়েজ ও করিম সাহেবের জন্য দোকান থেকে ফায়দা নেয়া জায়েজ হবে।

 

 

আরেকটি সূরত হল, করিম সাহেব রহিম সাহেব থেকে ৬ লাখ টাকায় ক্রয় করবে। তারপর ক্রয় শেষে বলবে যে, আমি তোমার কাছে এ জমিন ৫ বছর পর বিক্রি করবো যদি তুমি কিনতে চাও, তাহলে ৬ লাখ টাকা দিতে হবে।

 

এভাবে করলেও উক্ত দোকানটি দ্বারা ফায়দা নেয়া করিম সাহেবের জন্য বৈধ হবে।

 

 

والله اعلم بالصواب

 

✍️ উত্তর লিখনে-

মুফতি লুৎফুর রহমান ফরায়েজী

-প্রধান মুফতি জামি’আতুস সুন্নাহ ঢাকা

 

তত্ত্বাবধানে-

 

★ মুফতি আ ফ ম আকরাম হুসাইন হাফিজাহুল্লাহ

প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক,

জামি’আতুস সুন্নাহ ঢাকা

 

★ মুফতি মাসূম রেজা হাফিজাহুল্লাহ

মুশরিফ

, ফতোয়া বিভাগ,

জামি’আতুস সুন্নাহ ঢাকা

 

 

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *